মিসওয়াকের উপকারীতা কি | মিসওয়াক করার সুন্নাত নিয়ম কি |

 

মিসওয়াকের উপকারীতা কি
মিসওয়াকের উপকারীতা কি

 

মিসওয়াক করার সুন্নাত নিয়ম কি | মিসওয়াকের উপকারীতা কি |


১। প্রত্যেক সলাতে, যেমন নবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
 ‘আমি যদি আমার উম্মাতের জন্য কঠিন হতে পারে মনে না করতাম তাহলে আমি তোমাদেরকে প্রত্যেক সলাতের জন্য মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।
 ২। ঘরে প্রবেশ করে।
 ৩। ঘুম থেকে জেগে উঠে।
 ৪। কুরআন তিলাওয়াত করার সময়।
 ৫। যখনই মুখের গন্ধ পরিবর্তন হয়।
 ৪। ওযু করার সময়।


নিম, জয়তুন বা অন্য কোন তিক্ত গাছের ডাল দ্বারা মিসওয়াক করা মুস্তাহাব। মিসওয়াক আঙ্গুল পরিমাণ মোটা ও আধাহাত লম্বা হওয়া উত্তম।
মিসওয়াক করার সুন্নত নিয়ম হলো, প্রথমে ডান দিকের উপরের দাত, তারপর বাম দিকের উপরের দাত, এভাবে নিচের দাতে পাশাপাশি (দাতের পাশাপাশি দন্তপটির নয়) মিসওয়াক করবে। উল্লেখ্য যে, মিসওয়াক করা অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ এবং দাতের পক্ষে পরম উপকারী কাজ। দাতের যত্নে মিসওয়াকের বিকল্প নেই। ব্রাশ ব্যবহার করলে মিসওয়াক করার ফজিলত পাওয়া যাবে না। সর্বোপরি মিসওয়াকের জাগতিক উপকারীতাও ব্রাশে পুরোপুরি পাওয়া যায় না। অতএব ব্রাশ-পেস্ট নয়, মিসওয়াকই ব্যবহার করা উচিৎ। আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি মিসওয়াক করে নামাজ পড়বে তার আমলনামায় সাতাইশ নামাজের সওয়াব দেওয়া হবে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, যে আমার উম্মতের জন্য যদি কষ্টসাধ্য না
হত, তাহলে তাদের জন্য মিসওয়াক ব্যবহার করা ওয়াজিব করে দিতাম। এখান থেকে বুঝা যায় মিসওয়াককে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম ) কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই আমরাও মিসওয়াকের প্রতি যৎবান হই। এতে করে দাতের বিভিন্ন রোগ থেকে হেফাযত থাকবেন।

ডেন্টাল মেডিকেল এ প্রায়ই দেখা যায় রোগীদের ভিড়। তাদের একটাই সমস্যা দাতের রোগ। কর্ম ব্যস্ততায় পরে আমরা দাতের যত্নে গাফলতি করি। যখন দাতের মাঝে রোগ আসে তখন আমরা ঘুম থেকে সজাগ হই। এর জন্য সব সময় দাত দেহের মূল্যবান সম্পদ মনে করে, খুব যত্নশীল হই।

মিসওয়াকের ছোট একটি ঘটনা নিম্নে উল্লেখ করা হল


একদা কোন একটি যুদ্ধ সাহাবায়ে কেরামগণ কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে যাওয়া অবস্থায়! তখন কোন একজন সাহাবী বলে উঠলেন, আজকে এমন কেন হচ্ছে? যুদ্ধে তুলনামূলক কাফেরদের চেয়ে আমরা সৈন্য সংখ্যা বেশি, তারপরও আমরা হেরে যাওয়া অবস্থায় কেন?'

হঠাত একজন বলে উঠলেন যে, আমরা যুদ্ধ শুরু করার আগে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিখানো কিছু আমল করি। সবাই এগুলিকে ভাল করে লক্ষ করে দেখুনতো কোন একটি আমল আজকে করতে বাকি রয়েছে কি! আমার মিসওয়াকের আমলটা করতে ভুলে গিয়েছিলাম, করতে পারি নাই।

তখন প্রায় কয়েকজন সাহাবী বলতে লাগলেন আমাদেরও আজকে মিসওয়াকের আমল করতে ভুলে গিয়েছিলাম, করতে পারি নাই। তাই সবাই পকেট থেকে মিসওয়াক বাহির করে, দাত মাজা শুরু করলেন, কাফেররা সাহাবীদের এই দাত মাজা দেখতে পেয়ে বলাবলি শুরু করল। আজকে আমাদের আর উপায় থাকবেনা মুসলমানরা যেভাবে দাত ধারাইতাছে, মনে হয় আজকে তারা আমাদের কে চিবিয়ে খাবে। 'সবাই জলদি জলদি পালাই, না হলে আজকে আমাদের আর উপায় থাকবেনা এবং বউ বাচ্চার মুখ আর দেখতে পারবা এভাবে সেদিন কাফেররা লেজ গুটিয়ে পালাই ছিল। আর যুদ্ধে মুসলমান সহজে জয়লাভ করে।

See Also :